ভূমিকাঃ
“কোমলমতি শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, নৈতিক, মানবিক, নান্দনিক, আধ্যাত্মিক ও আবেগিক বিকাশ সাধন এবং তাদের দেশাত্ববোধে, বিজ্ঞানমনস্কতায়, সৃজনশীলতায় ও উন্নত জীবনের স্বপ্নদর্শনে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে “উইন আইডিয়াল স্কুল” শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালে স্থাপিত হয়। স্কুলটিতে শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে প্রতিটি শিশু লাভ করবে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা’য়ালা/সৃষ্টিকর্তার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন, সকল সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসায় উদ্দীপ্ত হওয়া। নিজ নিজ ধর্ম প্রবর্তকের আদর্শ এবং ধর্মীয় অনুশাসন অনুশীলনের মাধ্যমে নৈতিক ও চারিত্রিক গুণাবলি অর্জন করা। সকল ধর্ম ও ধর্মাবলম্বীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও ভ্রাতৃত্ব বোধে উদ্দীপ্ত ও শ্রদ্ধাশীল হওয়া। কল্পনা, কৌত‚হল, সৃজনশীলতা ও বুদ্ধির বিকাশে আগ্রহী হওয়া। সংগীত, চারু ও কারুকলা ইত্যাদির মাধ্যমে সৃজনশীলতা, সৌন্দর্য চেতনা, সুকুমারবৃত্তি ও নান্দনিক বোধের প্রকাশ এবং সৃজনশীলতার আনন্দ ও সৌন্দর্য উপভোগে সামর্থ্য অর্জন করা। প্রকৃতির নিয়মগুলো জানার মাধ্যমে বিজ্ঞানের জ্ঞান অর্জন করা। বিজ্ঞানের নীতি ও পদ্ধতি এবং যৌক্তিক চিন্তার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের অভ্যাস গঠন এবং বিজ্ঞান মনস্কতা অর্জন করা। প্রযুক্তি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কে জানা ও প্রয়োগের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা। বাংলা ভাষার মৌলিক দক্ষতা অর্জন এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা। বিদেশি ভাষা হিসেবে ইংরেজি ভাষার মৌলিক দক্ষতা অর্জন ও ব্যবহার করা। গাণিতিক ধারণা ও দক্ষতা অর্জন করা। যৌক্তিক চিন্তার মাধ্যমে গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে পারা। মানবাধিকার, আন্তর্জাতিকতা বোধ, বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব ও বিশ্ব সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী ও শ্রদ্ধাশীল হওয়া। স্বাধীন ও মুক্তচিন্তায় উৎসাহিত হওয়া এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুশীলন করা। নৈতিক ও সামাজিক গুণাবলি অর্জনের মাধ্যমে ভালো-মন্দের পার্থক্য নিরূপণ এবং তা বান্তব জীবনে প্রয়োগ করা। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুষ্ঠুব্যবহার ও সংরক্ষণে যতœশীল হওয়া। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুসহ নারী-পুরুষ, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সঙ্গে স¤প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থানের মানসিকতা অর্জন করা। অন্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে ত্যাগের মনোভাব অর্জন ও পরমতসহিষ্ণুতা প্রদর্শন এবং মানবিক গুণাবলি অর্জন করা। সামাজিক কর্মকান্ডে সμিয় অংশগ্রহণ এবং নিজের দায়িত্ব ও অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া। প্রতিক‚লতা ও দুর্যোগ সম্পর্কে জানা এবং তা মোকাবেলায় দক্ষ ও আত্ম প্রত্যয়ী হওয়া। নিজের কাজ নিজে করা এবং শ্রমের মর্যাদা দেওয়া। প্রকতি, পরিবেশ ও বিশ্বজগৎ সম্পর্কে জানা ও ভালোবাসা এবং পরিবেশের উন্নয়ন ও সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ হওয়া। আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনের সমস্যা মোকাবেলায় ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণে সচেষ্ট হওয়া। মানুষের মৌলিক চাহিদা ও পরিবেশের ওপর জনসংখ্যার প্রভাব এবং জনসম্পদের গুরুত্ব সম্পর্কে জানা। শরীরচর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সাধন এবং নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন করা। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের অভ্যাস গঠন করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে উদ্দীপ্ত হওয়া এবং ত্যাগের মনোভাব গঠন ও দেশ গড়ার কাজে সμিয় অংশগ্রহণ করা। জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা এবং এগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া বাংলাদেশকে জানা ও ভালোবাসা। কিছু সংখ্যক শিক্ষানুরাগী ও উদ্যমী ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে ও অর্থায়নে ২০১৮ সালে “উইন আইডিয়াল স্কুল” টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এতদ্অঞ্চলের সকল সম্ভবনাময় ছাত্র/ছাত্রীদের মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে আদর্শ বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়ে তোলাই “উইন আইডিয়াল স্কুল” এর একমাত্র লক্ষ্য।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাস ও শ্রেণী কক্ষে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে সম্ভবনাময় প্রত্যেকটি ছাত্র-ছাত্রীর ভিতরের সম্ভবনাকে জাগিয়ে তাকে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলা।
দেশাত্ববোধ, জাতীয়তা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ধর্মীয় মূল্যবোধের মৌলিক বিষয়গুলো কারিকুলামে অর্ন্তভ‚ক্তির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তোলা।
চিত্ত বিনোদন ও এক্সট্রা কারিকুলাম/ কো-কারিকুলামের বিষয়গুলো সিলেবাসের অর্ন্তভ‚ক্তকরণ ও কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার পাশাপাশি মনো-সামাজিক বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা করা।
উদ্ভাবনী ও বৈচিত্রপূর্ণ আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চাসহ তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে সম্যক ধারনা সৃষ্টির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের উন্মেষ ঘটানো।
আধুনিক শিক্ষা উপকরণ (যেমনঃ- ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, উন্নত সাউন্ড সিস্টেম) ব্যবহারের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের সাথে পরিচিত করে তোলা।
ভবিষ্যতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রণীত জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামের ইংরেজী ভার্সন চালুর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ভাষা ও বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রস্তুত করা।
সর্বোপরি শিক্ষার পাশাপাশি দৈহিক ও মানসিক সুষম বিকাশের লক্ষ্যে ছাত্র-ছাত্রীরা একত্রে/ আলাদাভাবে নানারকম সহশিক্ষা কার্যক্রম ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ যেমনঃ সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা, বির্তক প্রতিযোগিতা, গান, নাচ, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কম্পিউটার শিক্ষা, খেলাধুলা, পরিবেশ শিক্ষা, গণিত প্রতিযোগিতা, ইংরেজী ভাষা শিক্ষা ও বিভিন্ন ধরণের শিক্ষামূলক ক্লাব গঠন ইত্যাদি বিষয়ে নিয়মিত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ উন্মুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য।